মা সরস্বতী হলেন জ্ঞান, বুদ্ধি, বিদ্যা, শিল্প ও সঙ্গীতের অধিষ্ঠীত্রী দেবী। মনে করা হয়, যে স্থানে মা সরস্বতীর বিরাজ করেন, সেখানে মা কালী ও মা লক্ষ্মীরও বাস। বিদ্যার দেবীকে সাক্ষী রেখে ছোট শিশুরা এদিন থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে ছাত্রজীবনে প্রবেশ করে। এদিন শিশুদের হাতেখড়ি দেওয়ার রীতি প্রচলিত আছে। এদিন ভক্তিভরে দেবীর আরাধনা করলে মনের সব বাসনা পূরণ হয়। তবে এমন কয়েকটি কাজ আছে, যেগুলি সরস্বতী পুজোর দিন ভুলেও করতে নেই বলে মনে করা হয়। বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীরা এদিন এই সব কাজ করলে বাগদেবী কূপিতা হন।
পুজোর গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী (Saraswati Puja Samagri)
- শ্রী পঞ্চমীর দিনি সকালেই সরস্বতী পুজো সম্পন্ন করা হয়। সাধারণত নিয়মে পুজো হলেও বেশ কয়েকটি সামগ্রির প্রয়োজন হয়। যেমন- আমের মুকুল, অভ্র- আবির, দোয়াত- খাগের কলম, পলাশ ফুল, বই ও বাদ্যযন্ত্রাদি। এছাড়াও বাসন্তী রঙের গাঁদা ফুল ও মালা প্রয়োজন হয়।
- প্রচলিত লোকাচার অনুযায়ী, সরস্বতী পুজো সম্পন্ন হওয়ার আগে পর্যন্ত কুল খেতে নেই। যদিও এর পেছনে রয়েছে আরও অনেক ব্যাখ্যা। তবে স্কুল-কলেজ এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাগদেবীর আরাধনা করার পরে অঞ্জলি দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা কুল খাওয়ার রীতি বহুদিন ধরে পালন করে আসছে।